নিজস্ব সংবাদদাতা | | Editor: শ্যামশ্রী সাহা ০৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৪ ১২ : ৫৭

পুনম পাণ্ডের ‘নাটক’ দেখে বীতশ্রদ্ধ গেহনা বশিষ্ট। এতটাই যে বলিউড থেকে সরাসরি ফোনে আজকাল ডট ইনের কাছে প্রথম ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন তিনি! পুনমকে ধিক্কার জানিয়েছেন। তাঁর মানসিকতাকে ‘সস্তা’ বলেছেন। এখানেই শেষ নয়, গেহনা পুনমকে ‘বন্ধু’ বলে স্বীকার করতে রাজি নন! একই সঙ্গে তিনি খুল্লমখুল্লা সমর্থন জানিয়েছেন সংবাদমাধ্যমকে। যারা শুক্রবার দিনভর পুনমের সঠিক খবর দেওয়ার আপ্রাণ চেষ্টা করে গিয়েছে।

কী বলছেন গেহনা? ‘নীল ছবির নায়িকা’র ২৪ ঘণ্টার নাটক তাঁকে বিরক্তির চরম সীমায় নিয়ে গিয়েছে। আজকাল ডট ইনের কাছে সাফ জানিয়েছেন তিনি। বলেছেন, ‘‘এতগুলো লোককে বোকা বানিয়ে, সাধারণ মানুষের অনুভূতি নিয়ে খেলা করে, মৃত্যু নিয়ে অনায়াস বাজে রসিকতায় মেতে পুনম আদতে নিজের পাশাপাশি বলিউডের মাথা হেঁট করে দিয়েছে। ওকে এক্ষুণি নিষিদ্ধ করা উচিত।’’ এখানেই থামেননি। সমস্ত সংবাদমাধ্যম কর্মীদের প্রতি তাঁর সহানুভূতি, ‘‘আপনারা গোটা একটা দিন পুনের পিছনে কাটিয়ে দিলেন। বদলে আপনারা এই পেলেন! এতে যে সংবাদমাধ্যমের শ্রম পণ্ড হয়ে গেল।’’ তাঁর আরও দাবি, পুনমের কাছের-দূরের মানুষেরাও প্রচণ্ড ভেঙে পড়েছিলেন এই খবরে। আঘাত পেয়েছেন জরায়ুর ক্যান্সারে প্রয়াতদের পরিবার। গেহনার ধিক্কার, ‘‘যে মৃত্যু নিয়ে এত নোংরা রসিকতা করতে পারে সে আগামীতে আরও নীচে নামতে পারে।’’

আগামীতে পুনমের সত্যি কিছু হলে কেউ কি আর বিশ্বাস করবে? প্রশ্ন রাখতেই টানটান উত্তর, ‘‘কেউ করবে না। করা উচিতও না। এই ধরনের মানুষদের বিশ্বাস করাও উচিত নয়। এরা আবারও সবার অনুভূতি নিয়ে ছেলেখেলা করবে।’’ দাবি, গেহনাও কিন্তু বিশ্বাস করতে পারেননি পুনমকে। কারণ, কোনও হাসপাতাল থেকে বার্তা আসেনি। একই ভাবে পুনমের দেহও কেউ দেখতে পায়নি।

এই পরিস্থিতিতে আজকাল ডট ইনের মাধ্যমে ‘বন্ধু’ পুনমকে কী বার্তা দিতে চান গেহনা?

প্রশ্ন শুনেই ছিটকে গিয়েছেন তিনি। কড়া গলায় বলেছেন, ‘‘ও আমার বন্ধু নয়। যে দিন থেকে রাজ কুন্দ্রার বিরুদ্ধে মুখ খুলেছে সে দিন থেকে ওকে আর বন্ধু মানি না। আমি বরাবর রাজ-শিল্পা শেট্টির পাশে থেকেছি। পুনম নিজের আখের গুছোতে রাজের চরিত্রহানি করেছে। যা একেবারেই মিথ্যে কথা। আমরা একই ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ করি। খুব কাছে থেকে চিনি। তাই জানি, প্রচারের স্বার্থে ও কী করতে পারে!’’ তা বলে প্রচারের আলো টানতে মৃত্যু নিয়ে ভুয়ো খবর ছড়ানো? গেহনার মতে, এই ধরনের মানসিকতা যেন আর কারও না হয়।